
‘কবর থেকে উঠে আসা’ ৯২ বছরের বৃদ্ধা বাছিরন বেওয়ার প্রকৃত পরিচয় মিলেছে। তার প্রকৃত নাম শেফালী সরদার। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি খুলনা জেলার দৌলতপুর থেকে পথ হাড়িয়ে গাইবান্ধায় আসেন।
খোঁজখবর নিয়ে তাদের পরিচয়ের সত্যতা মিললে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে তাকে আশ্রিতা শেফালী বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন।
গাইবান্ধা তদন্তকারী অফিসার আব্দুর রহমান জানান, বৃদ্ধার খবর পেয়ে খুলনার দৌলতপুরের বাসিন্দা শেফালী বেগম আজ দুপুরে গাইবান্ধা থানায় আসেন। বৃদ্ধার নাম বাছিরন বেওয়া নয়। তার প্রকৃত নাম শেফালী সরদার তার আত্মীয় স্বজন বলতে কেউ নেই।
বৃদ্ধাকে নিতে আসা সুফিয়া বেগম জানান, তার কোনো ঘরবাড়ি নেই তিনি তার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রিতা হিসাবে থাকতেন। তার নামে প্রতিবন্ধীর কার্ডও রয়েছে।
পূর্ববর্তী সংবাদ
প্রেসিডেন্টের মৃত্যু, আমিরাতে ৪০ দিনের শোক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৪০ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। খবর খালিজ টাইমসের
এসময় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং মন্ত্রণালয়, বিভাগ, ফেডারেল এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আজ থেকে কাজ স্থগিত রাখবে। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে তিন দিনের শোক পালিত হবে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ মে) সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে দেশটির প্রেসিডেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আমিরাতের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াম এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণ, আরব এবং ইসলামিক জাতি এবং বিশ্ববাসীকে সমবেদনা জানিয়েছে।
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
তিনি তার বাবা প্রয়াত শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের উত্তরসূরি নির্বাচিত হয়েছিলেন। শেখ জায়েদ ১৯৭১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইউনিয়ন হওয়ার পর থেকে ২০০৪ সালের ২ নভেম্বর মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির ১৬তম শাসক ছিলেন। তিনি শেখ জায়েদের বড় ছেলে।