
একটি ঘরের জন্য নিদারুণ কস্টে দিন পার করছিলেন ৭০বছর বয়সী বিধবা বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম তাকে একটি পাকা ঘর তৈরি করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
প্রতিশ্রুতি দেয়ার ৫দিনের মধ্যে মর্জিনা বেগমকে দিলেন তিনি নতুন ঘর।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সদর উপজেলা বেগুনবাড়ি ইউপির নতুন পাড়ায় গ্রামে গিয়ে জেলা প্রশাসক ড.কে এম কামরুজ্জামান সেলিম নতুন এ ঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুরকুতুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ-আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল হাসান সোহাগ, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদা আক্তার মাসুসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার অর্থায়নে বৃদ্ধা মর্জিনা বেগমেকে একটি নতুন ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। এবং আগামী দিনগুলোতে তার কোন সমস্যা না হয় সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন ডিসি।
এদিকে জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আনন্দ আত্মহারা কণ্ঠে মর্জিনা বেগম বলেন, ডিসি স্যার আমাকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন। আমি স্যারের কাছে আজীবন ঋণী।
প্রসঙ্গত: সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগমের চলতি বছর বর্ষায় মাটির তৈরি একমাত্র ঘরটি ভেঙে পড়ে যায়। বাড়ি নির্মাণে অর্থ না থাকায় সে অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত্রিযাপন করত। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি।